মোঃ শাহীন আলম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
সুন্দরগঞ্জে ৬২ বছর পরে আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নামীয় জায়গা দাবী করে স্থাপনা নির্মাণে বাধা প্রদান করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন সংলগ্ন পূর্বপাশে রামডাকুয়া মৌজাস্থ স্বত্ব-দখলীয় জমিতে ফারুক হোসেন, ফিরোজ কবির ও নান্টু চন্দ্র মহন্ত গং স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকেন।এতে উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে শিক্ষার্থীরা কয়েকদফা বিক্ষোভ করে।
ফারুক হোসেন বলেন, আমার বাবা আঃ সাত্তার সরকার জীবদ্দশায় বিগত আশির দশকে (১৯৮৫ সালে) তফশীল বর্ণিত ৩৩ শতক জমি কবলামূলে দলিল করে নেন। তখন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে এ জমি ভোগ-দখলে রয়েছে। এখানে চাতাল, চালকল, স্থাপণ করে ব্যবসা চালিয়েই আসছি। সম্প্রতি নতুন করে বর্ধিত স্থাপনা নির্মাণ করতে দেখে কোন একটি ব্যক্তি বা মহলের ইন্ধনে স্কুলের পক্ষে এ জমির মালিকানা দাবি করে কাজে বাধা দেয়।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে দলিলাদী পর্যালোচনা করা হয়েছে। তাতে কোন সমস্যা নেই। তাছাড়া, পূর্ববর্তী রেকর্ড, নামজারী মোতাবেক আমাদের মালিকানা সঠিক আছে। সুধীর চন্দ্র মহন্তের ছেলে নান্টু চন্দ্র মহন্ত জানান, শেফলিকা দেবীর মালিকানা সূত্র ধরে পর্যায়ক্রমে এখন আমরাই (তারাই) এ জমির বৈধ মালিক পক্ষ।
প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলী জানান, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৮৫ সালে সরকারি করণ হয়। তখন থেকে প্রধান শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ের ৭ একর ৭ শতক পরিমাণ জমি বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব না দেয়ায় সময়মতো ভূমি রেকর্ড, নামজারীতে বিঘ্ন ঘটেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের জমি বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে ১৯৬২ সালের একটি দলিলে বর্ণিত ৪টি দাগের মধ্যে ১১৫৯ ভুক্ত ৮৩ শতক জমি বে-দখল হচ্ছে। তা উদ্ধারে থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবরে অভিযোগ করা হয়।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস আলীর অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তদেরকে জমির কাগজ-পত্র নিয়ে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় আছে।
Leave a Reply