1. admin@voiceofnaogaon.com : admin :
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ন
প্রধান খবর
কিশোরগঞ্জে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত রাজশাহীর শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা ৫ দিনের রিমান্ডে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কর্তৃক হামলার শিকার হয়ে আতঙ্কে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু আওয়ামী লীগকে নিজের ভুল বুঝে অন্তর থেকে শুদ্ধ হয়ে আসতে হবে: মঈন খান আঁধার কেটে যাবে শিগগিরই, হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারে নানকের পক্ষে বার্তা বেড়ীতলা একাডেমী হাই স্কুল এর অর্থ লোপাটকারী ও স্বেচ্ছাচারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু বৌভাতের দিন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো নতুন বর, বিয়ে বাড়িতে চলছে শোকের মাতম পটুয়াখালী’তে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাংবাদিকের বিরুদ্ধে, কাল্পনিক মামলা দায়ের করেন যুবলীগ নেতা

সান্তাহার সাইলো সুপারের অনিয়ম-দূর্নীতির প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতী

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এনামুল,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি-

সাইলো সুপার শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী। তিনি নওগাঁর পার্শ্ববর্তি বগুড়ার সান্তাহার সাইলোর ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বিভিন্ন দূর্ণীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িত। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একক ক্ষমতা বলে ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করছেন মাস্টার রোলে কর্মরত কর্মচারীদের। ফলে শিকার হচ্ছেন বৈষম্যের। যার কারণে ভারপ্রাপ্ত সুপারের সীমাহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং শ্রমিকদের নায্য মজুরীর দাবীতে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ২ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে সাইলোর প্রধান ফটকের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন সেখানে কর্মরত ভুক্তভোগী অর্ধশত ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা। এসময় সাইলোর সকল কর্মকান্ড বন্ধ রাখে কর্মচারীরা। ফলে সাইলোতে সকল প্রকারের পণ্য পরিবহনের কাজসহ সকল কিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। এরপর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে অবরুদ্ধ করে রাখেন সুপার শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীকে।

কর্মসূচিতে কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সাজিদ হোসেন। তিনি বলেন, সাইলো সুপার শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর অধিনে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সকল ধরণের বৈষম্য অনিয়ম, দমন, পীড়ন, মজুরী কম দেয়াসহ বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। সুপার নিজের পছন্দের ঠিকাদার না পাওয়ার কারণে লেবার হ্যান্ডলিং ঠিকাদার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেননি। যার কারণে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বর্তমানে কোনো হ্যান্ডলিং ঠিকাদার না থাকায় মাষ্টারোলের শ্রমিকদের দৈনিক মাত্র ১৭৫টাকার মজুরীতে কাজ করতে হচ্ছে। সুপারের এই রকম শত শত অনিয়ম আর দূর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রæত কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আগামীতে আরো কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়।

এসময় খোরশেদ আলম, রবিউল ইসলাম, সুমন হোসেন, এনামুল হক, সাগর হোসেন, নাজমুল হক, বাবুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তারা সাংবাদিকদের কাছে সুপারের দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তমিজউদ্দিন এ্যান্ড ব্রাদার্সকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য বিমানের টিকিটসহ আট লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু তাকে কাজ না দিয়ে আরও অতিরিক্ত টাকার বিনিময়ে জয় কনষ্ট্রাকশনকে কাজ পাইয়ে দেন সুপার। বিষয়টি জানাজানি হলে তমিজউদ্দিন এ্যান্ড ব্রাদার্স তদন্ত কমিটির নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।

তারা ক্ষোভের সহিত আরও বলেন, আমাদের করুন অবস্থার কথা সাইলো সুপারকে জানাতে গেলে তিনি কোনো কথা না শুনে উল্টো চাকুরি থেকে বের করাসহ মামলার হুমকি প্রদান করেন। আমরা এই দুর্নীতিবাজ সাইলো সুপারের সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক তাকে দ্রত বিচারের আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে আমাদের নায্য মজুরি থেকে কেটে নেওয়া বকেয়া পাওনার সমস্ত মজুরির টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোরালো দাবী জানাচ্ছি।

এদিকে কর্মবিরতি চলাকালে সাইলো সুপারের নির্দেশে মুল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়, যেন শ্রমিকরা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। এতে করে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ প্রকাশ করে। কর্মসূচি শেষে সাইলোর ভিতরে কর্মচারী ও সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে না দিতে প্রধান ফটকে তালা দেয়া হয়। পরে বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীরা সাইলোর অপর গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং সাইলো সুপারের কাছে তাদের দাবীগুলো জানানোর জন্য গেলে বাধা প্রদান করা হয়। এসময় বিক্ষুদ্ধ কর্মচারীরা সুপারের কার্যালয়ে কথা বলার জন্য প্রবেশ করতে গেলে আবারও বাধা প্রদান করা হলে সেখানে চরম হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সুপারকে তার কার্যালয়ে প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে কর্মচারীরা। খবর পেয়ে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বকুল হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি জানতে চাইলে বকুল হোসেন বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাইলোর এক কর্মচারি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমার ৩০ বছরের চাকরি জীবনে এই রকম কর্মকর্তা পাইনি। তিনি সব সময় আত্মঅহংকার নিয়ে থাকেন। কোনো কর্মচারীকে তিনি মূল্যায়ন করেন না। আর যারা মাস্টার রোলে চাকরি করছেন, তাদের কথা বাদই দিলাম।

এদিকে শ্রমিকদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে গনমাধ্যমকর্মীরা সাইলো অধীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরীর কাছে গেলে তিনি অফিস কক্ষের বাহিরে এসে অহংকার ও গম্ভীর সুরে বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে কেন কথা বলতে হবে বলে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। পরে আবারও যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি অশালীন ব্যবহার করেন। তাকে বার বার বলার পরও তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দোহায় দিয়ে বক্তব্য দিবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন।

উল্লেখ্য, বর্তমান সাইলো অধীক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শাহরিয়ার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সাইলোতে রক্ষণ প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নিবন্ধনের প্রক্রিয়াধীন।
Powered by: Nfly IT